প্রাসঙ্গিক তথ্য
গাছের প্রায়াজনীয় খাবার সরবরাহ এবং শিকড়ের বৃদ্ধির জন্য গাছ রোপণের আগে গর্ত করা একান্ত প্ৰায়াজন । এক এক গাছের জন্য এক এক পরিমাণ দূরত্বে ভিন্ন ভিন্ন আকারের গর্ত তৈরি করতে হবে । সাধারণত কোন গাছের জন্য কি আকারের গর্ত তৈরি করতে হবে তা নিম্নোক্ত বিষয়ের ওপর নির্ভরশীল । যথা-
(ক) গাছের আকৃতি
(খ) শিকড়ের গভীরতা
(গ) শিকড়ের বিস্তৃতি
(ঘ) চাষের মেয়াদ কাল
(ঙ) গাছের খাবারের চাহিদা ইত্যাদির উপর
উপকরণ ও যন্ত্রপাতি
১। কোদাল ২। শাবল/খন্তা ৩ । ঝুড়ি ৪ । মাপযন্ত্র ও মাপের ফিতা ৫। বাশেঁর কাঠি ৬। দড়ি/সুতলি ৭। পলিথিন সিট ৮ । কীটনাশক ও জীবাণুনাশক ঔষধ।
কাজের ধাপ
১। গর্ত খননের পূর্বে জমি ভালোভাবে চাষ দিয়ে সমতল করে আগাছা পরিষ্কার করে নিতে হবে ।
২। জমিতে গর্ত করার আগে চারা রোপণের নকশা মোতাবেক ফিতা বা কাঠির সাহায্যে মাপ দিতে হবে। মাপ দিয়ে নির্ধারিত দূরত্বে খুঁটি পুঁতে চারা রোপণের স্থান চিহ্নিত করতে হবে ।
৩ । নির্দিষ্ট দূরত্বে চিহ্নিত জায়গায় পর্ব করতে হবে । পর্ভের উপরের দিকের মাটি একদিকে এবং নিচের দিকের মাটি আর এক দিকে রাখতে হবে।
৪। চারা রোপণের ২০-৩০ দিন আগে গর্ত তৈরি করে প্রতি গর্তে পরিমাণমত সার দিয়ে মাটি ভরাট করে দিতে হবে।
৫। যে সব জায়গায় উইপোকার আক্রমণের সম্ভাবনা থাকে সেখানে উইপোকা প্রতিরোধক ঔষধ ব্যবহার করতে হবে ।
৬। পর্কের মাটি জীবাণুযুক্ত করার জন্য পুরো রোগনাশক দ্রবণটি পর্বের মাটির সাথে ভালো করে মিশিয়ে দিতে হবে এবং একটি পলিখিন সিট দিয়ে পত্রটি ঢেকে দিয়ে ৪৮ ঘন্টা রাখতে হবে। এরপর পলিথিন সিট সরিয়ে নিয়ে কোলাল/খুরপি দিয়ে মাটি আলগা করে দিতে হবে। এ অবস্থায় ৭-১০ দিন রাখতে হবে। এ সময় গ্যাসের গন্ধ চলে যাবে, গর্ত জীবাণুযুক্ত হবে।
৭। গর্তের উপরের মাটির সাথে গোবর পঁচাসহ প্রয়োজনীয় সার মিশানোর পর গর্ত ভরাট করার সময় উপরের অংশের মাটি গর্ভের নিচের দিকে দিয়ে গর্ত ভরাট করতে হবে । আর নিচের অংশের আলাদা করে রাখা মাটি গর্ভের উপরিভাগে দিতে হবে। জমির উপরিভাগের মাটি বেশি উর্বর।
৮। সার মিশ্রিত মাটি গর্তে দেয়ার পর ভালোভাবে মাটি চেপে দিতে হবে। ৯। গাছের আকৃতি বিবেচনা করে গর্ভের ব্যাস ও গভীরতা নির্ণয় করতে হবে ।
গাছের আকৃতি | চারা লাগানোর গর্তের মাপ | একটি চারা থেকে আর একটি চারার দূরত্ব |
(ক) বড় বৃক্ষ জাতীয় পাছ (আম, কাঁঠাল, লিচু, নারিকেল, বেল ইত্যাদি) | ১ মিটার ব্যাস ১ মিটার গভীরতা বা ৯০ x ৯০ x ৯০ সে.মি. | ৭-৮ মিটার |
(খ) মাঝারি গাছ (পেয়ারা, আতা, শরীফা, সফেদা, লেবু ইত্যাদি) | ৬০ সে.মি ব্যাস ও ৬০ সে.মি গভীর বা ৭৫×৭৫×৭৫ সে.মি.) | ৫ মিটার |
(গ) ছোট গাছ (কলা, পেঁপে, সুপারি) | ৫০ সে.মি. ব্যাস ৫০ সে.মি. গভীর | ২ মিটার |
(ঘ) খুব ছোট গাছ (আনারস, স্ট্রবেরী ইত্যাদি) | ১৫ সে.মি. ব্যাস ও ১৫ সে.মি গভীর) | ২ মিটার |
Read more